সারাদিন মনোঃসংযোগ ধরে রাখার দশটি উপায়

আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে দেখবেন, অনেকেই কোনো কাজ অনেক সময় ধরে করেও সুষ্ঠু ভাবে শেষ করতে পারে নাহ। পক্ষান্তরে অনেকে একই কাজ খুব কম সময়ের মধ্যে একদম সুনিপুণ ভাবে শেষ করে ফেলে। বলতে পারেন এখানে পার্থক্যটা কোথায় সৃষ্টি হয়? মূলত এখানে পার্থক্যটা তৈরী হয় মনোযোগের ক্ষেত্রে। যে কাজটা মনোযোগ ধরে রাখতে পেরেছিল, সেই কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে কাজটা করতে পেরেছে। তাই বুঝতেই পারছেন, আমাদের ব্যক্তিজীবনে সাফল্য অর্জন করতে চাইলে, মনোযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। 

মনোযোগ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলেও, আমরা সচরাচর কিন্তু কোনো কাজে ঠিকমতো মনোযোগ ধরে রাখতে পারিনা। ফলস্বরূপ কাজটাতে ব্যর্থ হই এবং নিজেদের ভিতর হতাশার সৃষ্টি হয়। আর মনোযোগ কিন্তু একদিনেও বৃদ্ধি করার জিনিষ নয়। তবে নিয়মিত অনুশীলন ও সুন্দর কিছু অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুললে আপনিও কোনো কাজে একনাগাড়ে মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন। 

তাহলে জেনে নেওয়া যাক, সারাদিন মনোঃসংযোগ ধরে রাখার দশটি উপায় সম্পর্কেঃ 

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

নিয়মিত শরীরচর্চা যেমন আপনার শরীর কে সতেজ রাখতে পারে, ঠিক তেমনি আপনার মন কে ও প্রফুল্ল রাখতে পারে। দৈনিক শরীরচর্চা করলে দেহের পেশির আকৃতি যেমন বৃদ্ধি পায়, ঠিক তেমনি মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। রুটিনমাফিক ভাবে শরীরচর্চা করার ফলে মস্তিষ্কে সিন্যাপস এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। মূলত মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন কার্যাবলী যেমন, সমন্বয়, বুদ্ধি, স্মৃতি ইত্যাদি সম্পন্ন হয় সিন্যাপসের কারণে। আর যখন প্রতিনিয়ত ব্যায়ামের কারণে সিন্যাপস এর সংখ্যা বাড়ে, তখন ফলস্বরূপ মগজে নতুন কোষ সৃষ্টি হয় তথা কোষের সংখ্যাও বাড়ে। এছাড়াও শারীরিক অনুশীলন বা ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কের আরো নানাবিধ উন্নতি সাধন হয়। আর মস্তিষ্কের এই সামগ্রিক উন্নতি আপনার মনোযোগ বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে। 

একসাথে একাধিক কাজ করা থেকে বিরত থাকুন

একই সঙ্গে একাধিক কাজ করা কে বলা হয় মাল্টিটাস্কিং। দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সময়েই আমরা মাল্টিটাস্কিং করে থাকি। লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমরা অনেক সময়ই গান শুনি আর ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করি, আবার হাটি আর কথা বলি, মূলত এই ব্যাপার গুলো হচ্ছে মাল্টিটাস্কিং। কিছু কিছু কাজ অনায়াসে মাল্টিটাস্কিং করে সম্পন্ন করা গেলেও। অনেক কাজই এভাবে সম্পূর্ণ রূপে শেষ করা যায় নাহ। উপরন্তু কাজে ভূল – ত্রুটি ও হতে পারে। মূলত আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার নিরবচ্ছিন্ন ভাবে মাল্টিটাস্কিং করতে পারলেও, আপনার পক্ষে ক্লান্তিহীন ভাবে সম পরিমাণ মনোযোগ দিয়ে দুটি কাজ একই সাথে করা সম্ভবপর হয় নাহ। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক একাধিক বিষয় এক সঙ্গে চালানোতে অভ্যস্ত নয় এবং ইচ্ছুকও নয়। মাল্টিটাস্কিং এর দরূণ কাজের গতি কমে যায়, কর্মক্ষমতা কমে যায়, মনোযোগ হ্রাস পায় এবং বাধাগ্রস্ত হয়। তাই মাল্টিটাস্কিং এড়িয়ে চলুন। যে কাজটি করছেন শুধু সে কাজটিতেই পুরোপুরি মনোনিবেশ করুন।

পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন থাকুন

অপরিষ্কার – অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় মনোযোগ ধরে রেখে কাজ করার আসা করাটা বোকামী। স্বাচ্ছন্দ্য মনে থাকতে পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। কারণ অপরিষ্কার – অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকলে মানসিক বিপর্যয় ঘটে। আর তাছাড়া এটি শরীরের জন্যও চরম ক্ষতিকর। আর শরীর ভাল না থাকলে কোনো কাজে মনোযোগও থাকবে নাহ এটাই স্বাভাবিক। তাই প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে আপনার নিজস্ব পরিচ্ছন্নতা। এক্ষেত্রে নিয়মিত গোসল করবেন, হাত – পা এর নখ ইত্যাদি কেটে ছোট রাখবেন, পরিচ্ছন্ন জামা – কাপড় পরিধান করবেন। আর কোনো একটি কাজের শুরুতে হাত – মুখ ধুয়ে নিবেন। কারণ এতে সতেজতা অনুভব করবেন। যা আপনাকে কাজটি করতে উদ্যমী করে তুলবে। ফলে আপনার মনোযোগও থাকবে অনেক বেশি। তাই যথাসম্ভব নিজস্ব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করুন। এছাড়াও নিজের ঘর, আঙিনা, চারপাশ ইত্যাদি যেন পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন থাকে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখুন। 

স্বাস্থ্যকর এবং উপযোগী স্থান নির্বাচন করুন

আপনি যে স্থানটি কাজ করেন সেই স্থানটি কিন্তু আপনার মনোসংযোগের ব্যাপারে অন্যতম বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে৷ তাই কাজের পরিবেশ কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেখানে পড়ালেখা করেন কিংবা কাজই করেন সে স্থানটি যদি আপনার মনমতো না হয় তবে আপনি কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন নাহ। এছাড়াও আপনি যে স্থানটিতে বা যে ঘরটিতে কাজ করছেন সে স্থানটি অস্বাস্থ্যকর হলেও কিন্তু একই সমস্যা সৃষ্টি হবে। ফলস্বরূপ আপনি ঠিকমতো কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন নাহ। বারবার আপনার মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই আপনার কাজের স্থানটি বা ঘরটি যেন পছন্দসই হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। এবং যে ঘরটিতে বা স্থানটিতে কাজ করছেন সেটি সুসজ্জিত রাখুন। বিভিন্ন জিনিষপত্র বিশৃঙ্খল বা এলোমেলো ভাবে না রেখে ঠিকমতো সাজিয়ে – গুছিয়ে রাখুন। যে সব জিনিষপত্র আপনার মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে বলে ধারণা, সে সব জিনিষপত্র দূরে সরিয়ে রাখুন। 

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করুন

মনোসংযোগ ধরে রাখতে কিংবা মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ জরুরী। কেননা আমরা যদি শারীরিক ভাবে দূর্বল হই, শরীরে পুষ্টিহীনতা থাকে তবে শারীরিক ও মানসিক দুই ভাবেই আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। স্বভাবতই মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করে নাহ। ফলে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন কোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হয় নাহ। আর তাই প্রতিদিন পরিমিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য শরীর ও মন উভয়ই ভাল রাখবে। আর তাছাড়া কিছু পুষ্টিকর খাদ্য রয়েছে যে গুলো মনের উপর প্রভাব ফেলে, মন ভাল রাখে। যেমন, শাকসবজি, কাজু বাদাম, তিল কুমড়োর বীজ, মটরশুটি ইত্যাদি খাবারে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। আর ম্যাগনেসিয়াম সেরোটেনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। আর এই সেরোটেনিন হলো যা মানসিক চাপ ও চাঞ্চল্য দূর করে মন ভাল রাখে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ আছে যা সরাসরি মনকে প্রশান্ত করতে ভূমিকা রাখে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই কোনো কাজে একনাগাড়ে মনোযোগ ধরে রাখতে চাইলে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।

বিরতি নিন

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। একনাগাড়ে যে কোনো কাজ করলেই ক্লান্তি কাজ করবে। আর কর্মক্ষমতাও কমে আসে একটানা কাজ করতে থাকলে। ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি হয়। এবং কাজের প্রতি আগ্রহ কমে আসে। তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর কয়েক মিনিটের জন্য বিরতি নিন। তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিরতির সময়ে ফেসবুক চালানো, গেমস খেলা ইত্যাদি করে। এগুলো কিন্তু আপনার মস্তিষ্ককে আরো বেশি ক্লান্তি এনে দেয়। তাই বিরতির সময়ে এগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বরং বিরতির সময় পানি পান করুন, শুয়ে থাকুন। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন, বিরতি যেন আপনার কাজের আবার ব্যাঘাত না ঘটায়। তাই বিরতির সময়ের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। যেমন, ধরুন প্রতি আধা ঘন্টা কাজের পর পাঁচ মিনিট বিরতি নিবেন। এভাবে কাজ করলে ক্লান্তিও কম হয় এবং যে আধা ঘন্টা, আধা ঘন্টা করে কাজ করলেন এগুলোতে সম্পূর্ণ মনোযোগও থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর বিরতি নিয়ে কাজের উদ্যমকে বাড়িয়ে তুলুন এবং সর্বোপরি, মনোসংযোগ ধরে রাখুন।

কর্মতালিকা করুন

একটি সুনির্দিষ্ট কর্মতালিকা আপনার কাজকে যেমন গতিশীল করে তুলতে পারে, ঠিক তেমনি মনোঃসংযোগও বৃদ্ধি করতে পারে। মূলত কর্মতালিকা হচ্ছে আপনি সারাদিন কি কি কাজ করছেন তার একটি সামগ্রিক তালিকা। এই তালিকা আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে, কাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, নিজস্ব আঙ্গিকে তৈরী করতে পারেন। মূলত কর্মতালিকা থাকার সুবিধা হলো আপনার ভিতর অস্বস্তি কিংবা শংকা কম থাকবে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট দিনে আমাদের কিন্তু অনেক কাজ থাকে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখবেন, কোনো একটি কাজ করার সময় আমাদের হঠাৎ হঠাৎ মনে পড়ে, অন্য আরেকটি কাজ তো করা হলো নাহ। আবার যে কাজটি করতেছি সেটির নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য থাকে নাহ। মনে হয় কাজের সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি। এভাবে মনে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। যা আপনার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে আপনি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কোনো কাজে মনোযোগী হতে পারেন নাহ। অথচ, নির্দিষ্ট একটি কর্মতালিকা থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন, কোন সময়ে কোন কাজটি আপনার করতে হবে। একটি সুশৃঙ্খলতা থাকে। ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ কাজ করে নাহ। এবং যথেষ্ট স্বস্তির সাথে মনোসংযোগ ধরে রেখে কাজ করা যায়। তাই প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে, পরের দিনের জন্য একটি কর্মতালিকা তৈরী করে রাখুন।

নিয়মিত মস্তিষ্কের অনুশীলন করুন

“মস্তিষ্কের অনুশীলন” কথাটি শুনে কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা শরীরকে ঠিক রাখতে শরীর চর্চা বা শারীরিক অনুশীলন করলেও মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে মস্তিষ্কের কোনো অনুশীলন কিন্তু করি নাহ। কিন্তু মনোযোগ বৃদ্ধি কিংবা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে মস্তিষ্কের অনুশীলন অনেক দরকারী। যখন মস্তিষ্কের অনুশীলন হত তখন মস্তিষ্কের কোষগুলির মধ্যে সংযোগকারী টিস্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে মস্তিষ্ক আরও বেশি সক্রিয় হয় এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে মস্তিষ্কের অনুশীলন আমরা কিভাবে করতে পারি? মস্তিষ্কের অনুশীলন করার অন্যতম ভাল একটি উপায় হলো মেডিটেশন বা ধ্যান। মেডিটেশনের জন্য প্রথমে একটি শান্ত ও নিরিবিলি স্থান নির্বাচন করুন। অতঃপর প্রতিদিন পাঁচ মিনিট ধ্যান করার চেষ্টা করুন। আর ধীরে ধীরে এই সময় বৃদ্ধি করার চেষ্টা করুন। এর ফলে আপনার ভিতর আলাদা রকম সতেজতা কাজ করবে। এবং আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে বহু গুণে। যে কোনো কাজ প্রশান্ত মনে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে মনোযোগ ধরে রেখে করতে পারবেন।

সময় নির্বাচন

কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করুন। এতে করে আপনার একটা অভ্যস্ততা তৈরী হবে। আর পুরো জিনিষটা যখন অভ্যাসের মধ্যে চলে আসবে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই বেশিক্ষণ মনোযোগ থাকবে৷ এক্ষেত্রে আপনার মন মর্জি অনুযায়ী কাজের সময় নির্বাচন করুন। অনেকে খুব ভোর বেলা কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, আবার অনেকে রাত্রে কাজ করে বেশি আরাম অনুভব করে৷ যে সময়টি আপনার জন্য সুবিধাজনক মনে হয়, সেই সময়টিতে নির্দিষ্ট কাজটি করার চেষ্টা করুন। তবে ভোর বেলায় কাজ করলে স্বভাবতই মনোযোগ বেশি থাকে, মস্তিষ্ক ভাল কাজ করে এবং ফুরফুরে মনে কাজ করা যায়। রাতের দিকে স্বাভাবিক ভাবেই  ক্লান্তি বেশি থাকে, তাই কাজে মনোসংযোগ ধরে রাখা যায় নাহ। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যতীক্রম হতে পারে। তবে ভোর বেলা উঠার সুবিধা কিন্তু অনেক। তাই যথাসম্ভব খুব ভোরে উঠে আপনার যে কাজটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি করে ফেলুন। অতঃপর গুরুত্বের স্তর অনুসারে বাকি সময়ে বাকি কাজ গুলো করে ফেলুন। 

অন্যান্য

কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে হলে আপনার কাজটিকে ছোট ছোট কিছু ভাগে ভাগ করে নিন। গেমস খেলার সময় যেমন লেভেল থাকে, কাজের ক্ষেত্রেও ওরকম বিভিন্ন স্তর ভাগ করে নিন। লক্ষ্য করলে দেখবেন, যখন আমরা গেমস খেলার সময় একেকটি লেভেল পার করি, তখন মনে আলাদা একটা স্বস্তি কাজ করে। কাজের ক্ষেত্রেও এরকম ছোট ছোট স্তর আপনাকে স্বস্তি এনে দিবে। কাজটা আরো সহজ মনে হবে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

প্রকৃতিকে উপভোগ করুন। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনার মনকে সুন্দর রাখতে এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সবুজ বৃক্ষ থাকলে তার দিকে তাকান। এতে আপনার চোখের দৃষ্টিক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। আর প্রতিদিন সুন্দর বাগান বা প্রকৃতি ঘেরা কোনো কিছুতে হাটার চেষ্টা করুন। এসব অভ্যাস আপনাকে সারাদিন মনোসংযোগ ধরে রাখতে উপকার করবে।

পরিশেষে,

যে কোনো কাজে মনোসংযোগ ধরে রাখার জন্য উপরোক্ত বিষয় সমূহ মেনে চলার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে একদিনেই কিন্তু আপনার এত সব অভ্যাস আয়ত্ত্বে আসবে নাহ। তাই সময় দিন এবং ধীরে ধীরে অভ্যাস গুলো বৃদ্ধি করার অনুশীলন করুন। ধন্যবাদ।

সারাদিন মনোঃসংযোগ ধরে রাখার দশটি উপায়

নোট লেখার সময় যে পাঁচটি জিনিষ মাথায়

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *